লালমনিরহাটে ৬.১ ডিগ্রী তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। শীত মৌসুমের শেষ দিকে এসে ঘন কুয়াশাঁ আর তীব্র শীতে লালমনিরহাটে জেঁকে বসেছে শীত।
শীত মৌসুম বিদায়ের আগে তাপমাত্রা হ্রাস পাওয়ার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং কনকনে হিমশীতল বাতাসের প্রবাহ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। শিশু ও বৃদ্ধরা এই শীতে ঘর থেকে বেড়াতে পাড়ছেনা। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
শুক্রবার(২৮ জানুয়ারী) সন্ধ্যা ৬টায় কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবোল চন্দ্র সরকার লালমনিরহাটে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার কথা নিশ্চিত করেছেন। যা দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ অফিস সুত্র জানায়, শুক্রবার সকাল থেকেই লালমনিরহাটে শীতের তীব্রতা লক্ষ করা যায়। সন্ধ্যায় তাপমাত্রা কমে ৬.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস আসে। এই তাপমাত্রা শুধু লালমনিরহাটেই নয়, এটি এ বছর দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ আবহাওয়া ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত থাকবে বলেও জানান তিনি।
শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সন্ধ্যার পর জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। শীতে নাকাল হয়ে পড়েছে বিভিন্ন বয়সের মানুষ। তীব্র শীতে বিপাকে পড়েছেন দৈনন্দিন খেটে খাওয়া কর্মজীবীরা।
বিত্তবানরা গরম কাপড় ক্রয় করতে পারলেও নিম্ন আয়ের লোকজনের তা হাতের নাগালের বাইরে। ফলে শীতবস্ত্রের অভাবে দরিদ্র-ছিন্নমূল মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। শীতে বোরো বীজতলা, ভুট্টা, আলু, সবজিক্ষেতসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন অনেকে।
তিস্তাপাড়ের দিনমুজুর ওয়াকিল আহমেদ বলেন, গত দুইদিন থেকে প্রচুর শীত আর কন কনে ঠান্ডা। এর আগে এ রকম শীত দেখা যায় নি। শহর এলাকার চেয়ে তিস্তার পাড়ে প্রচুর শীত।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালসহ ৫টি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স গুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। নিউমোনিয়া, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে মানুষ। এদের মধ্যে শিশুরোগীর সংখ্যা বেশি।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। আমরা যাথাসাধ্য চেষ্টা করছি রোগীদের সেবা দিতে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে।